বীমাকৃত কোন বিষয়বস্তুর জন্য বীমাকারী তার আর্থিক ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে অন্য বীমাকারী প্রতিষ্ঠানে ঝুঁকি হস্তান্তর করাকে এক কথায় রি-ইন্স্যুরেন্স/পুনঃবীমা বলা হয়। ব্যাপক অর্থে কোন বীমাকারী যদি অত্যধিক আর্থিক ঝুঁকিসম্পন্ন কোন বিষয়বস্তুর বীমা গ্রহণ করে কিন্তু তাহার আর্থিক অবস্থা যদি সেই ঝুঁকি বহন করার জন্য যথোপযুক্ত না হয়, তখন সেই বীমাকারী তাহার ঝুঁকি হ্রাসের জন্য বীমাকৃত বিষয়বস্তু আবার পর্যন্ত আর্থিক সামথবান অন্য বীমা কোম্পানীর নিকট পুনঃবীমা করে কিছুটা ঝুঁকি হ্রাস করে। ঝুঁকির পরিমাণ হ্রাস করার বা ঝুঁকি হস্তান্তর করার এ পদ্ধতিকে রি-ইন্সুরেন্স/পুনঃবীমা বলে।
রি-ইন্স্যুরেন্স সুবিধা ঃ
- নিজস্ব আর্থিক যোগ্যতা না থাকলেও ব্যবসায়ের উন্নতি ও সুনামের প্রতি লক্ষ্য রেখেই বীমাকারী রি-ইন্স্যুরেন্স/পুনঃবীমার মাধ্যমে বড় বড় ঝুঁকি গ্রহণ করতে পারে।
- বীমা প্রতিষ্ঠানসমূহ একে অপরের ঝুঁকিতে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে পারষ্পরিক ঝুঁকি হ্্রাস করে।
- মূল বীমাকারী প্রতিষ্ঠান তার নিজের আর্থিক যোগ্যতা সাপেক্ষে বীমাকৃত অংকের ঝুঁকি নিজে বহন করে বাকী অংশ রি-ইন্স্যুরেন্স/ পুনঃবীমাকারীর নিকট হস্তান্তর করে।
- রি-ইন্স্যুরেন্স/পুনঃবীমার কারণে মূল বীমাকারী নিশ্চিন্তে যে কোন অংকের বীমা গ্রহণ করতে সক্ষম হয়।
- রি-ইন্স্যুরেন্স/পুনঃবীমার মাধ্যমে বীমা ব্যবসায়ে প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হয়।
- ব্যবসায়ের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়, দেশীয় ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর আন্ডাররাইটারগণ বিশ্বমানের অবলিখন সম্পর্কে ধারণালাভ করে ও সমাজে বিভিন্ন প্রকার অনিশ্চয়তা দূরীভূত হয়।